স্ট্রিম ইঞ্জিনের ইতিহাস
স্ট্রিম ইঞ্জিন (Steam Engine) হল একটি তাপ ইঞ্জিন, যা তাপ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করে। এটি মূলত বাষ্পের সম্প্রসারণের মাধ্যমে কাজ করে। পানিকে গরম করে বাষ্প তৈরি করা হয়, সেই বাষ্প পিস্টন বা টারবাইনকে চালিয়ে যান্ত্রিক শক্তি উৎপন্ন করে।
🕰️স্ট্রিম ইঞ্জিন
১৬৯৮: থমাস সেভারি প্রথম বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর স্টিম ইঞ্জিনের পেটেন্ট নেন।
১৭১২: থমাস নিউকোমেন একটি উন্নততর স্টিম ইঞ্জিন তৈরি করেন, যা খনি থেকে পানি তুলতে ব্যবহৃত হতো।
১৭৬৯: জেমস ওয়াট নিউকোমেনের ইঞ্জিনে কনডেন্সার সংযোজন করে দক্ষতা বৃদ্ধি করেন, যা শিল্প বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
১৮০৪: রিচার্ড ট্রেভিথিক প্রথম স্টিম চালিত লোকোমোটিভ তৈরি করেন।
⚙️স্ট্রিম ইঞ্জিনের প্রধান উপাদান
বয়লার (Boiler): পানি গরম করে বাষ্প তৈরি করে।
সিলিন্ডার ও পিস্টন (Cylinder & Piston): বাষ্পের চাপ পিস্টনকে চালনা করে।
কনডেন্সার (Condenser): ব্যবহৃত বাষ্প ঠান্ডা করে পুনরায় তরলে পরিণত করে।
ফ্লাই হুইল (Flywheel): গতিশক্তি সংরক্ষণ ও সুষমভাবে বিতরণ করে।
🚂স্ট্রিম ইঞ্জিনের ব্যবহার ও গুরুত্ব
শিল্প বিপ্লব: কারখানা ও কলকারখানায় বিপ্লব ঘটায়।
পরিবহন: ট্রেন, জাহাজ ও প্রথমদিকের গাড়িতে ব্যবহৃত হতো।
বিদ্যুৎ উৎপাদন: আধুনিক স্টিম টারবাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
🔚যদিও আধুনিক প্রযুক্তি ও জ্বালানির কারণে স্ট্রিম ইঞ্জিনের ব্যবহার এখন অনেকটাই সীমিত, তবে এটি এক সময় শিল্প বিপ্লবের মূল চালিকা শক্তি ছিল। মানব ইতিহাসে এটি এক যুগান্তকারী আবিষ্কার।
✅তথ্যসূত্র (Sources):
“Steam Engine” — Encyclopedia Britannica
“The Invention of the Steam Engine” — Library of Congress
“James Watt and the History of the Steam Engine” — Science Museum, UK