নবরত্ন মন্দির উল্লাপাড়া
বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলা শুধু ভৌগোলিক অবস্থান বা অর্থনৈতিক দিক থেকেই নয়, বরং ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। যমুনার তীরবর্তী এ অঞ্চল প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য, আধ্যাত্মিক সাধনা এবং লোকজ সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। সিরাজগঞ্জের গ্রামাঞ্চল ও শহরতলিতে আজও ছড়িয়ে আছে অসংখ্য পুরাতন জমিদারবাড়ি, মসজিদ, মঠ এবং মন্দির। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো নবরত্ন মন্দির। নবরত্ন মন্দির নামটি শুনলেই বোঝা যায় এটি সেই ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশৈলীর একটি নিদর্শন, যেখানে নয়টি চূড়া বা “রত্ন” দ্বারা শোভিত এক অনন্য ধর্মীয় স্থাপনা নির্মিত হয়েছে। বাংলার অন্যান্য অঞ্চলের মতো সিরাজগঞ্জেও জমিদারশ্রেণি ও স্থানীয় ধনীরা ধর্মীয় ভক্তি এবং প্রভাব প্রদর্শনের জন্য এমন মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। আজ এই মন্দির কেবল ভক্তির প্রতীক নয়, বরং ইতিহাস ও ঐতিহ্যেরও সাক্ষী।
নবরত্ন মন্দির কি
নবরত্ন মন্দির হলো এক প্রকার স্থাপত্যশৈলী যেখানে মন্দিরের দুটি ধাপে চতুষ্কোণাকারে আটটি এবং কেন্দ্রে একটি মোট নয়টি চূড়া বা রত্ন থাকে। বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার হাটিকুমরুল গ্রামে অবস্থিত নবরত্ন মন্দিরটি এই স্থাপত্যশৈলীর একটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। এটি মধ্যযুগের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, যা পোড়ামাটির চিত্রফলক দ্বারা সজ্জিত ছিল এবং এর কারুকার্য আজও মানুষকে মুগ্ধ করে। এই মন্দিরগুলি মূলত অষ্টাদশ শতাব্দীতে নির্মিত হয় এবং এগুলো মধ্যযুগীয় স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন।
নবরত্ন মন্দির কোথায় অবস্থিত
নবরত্ন মন্দির সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের একটি প্রাচীন মন্দির ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। এটি উপজেলার হাটিকুমরুল গ্রামে অবস্থিত বলে একে হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দির নামেও ডাকা হয়। তবে স্থানীয়ভাবে এটি দোলমঞ্চ নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে আবিষ্কৃত নবরত্ন মন্দিরসমূহের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড়। সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন গ্রাম ও উপজেলার ভেতরে একাধিক পুরাতন মন্দির পাওয়া যায়। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ভাটপাড়া ও উল্লাপাড়া উপজেলায় একটি করে নবরত্ন মন্দির বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ভাটপাড়ার নবরত্ন মন্দির: স্থানীয়ভাবে “নবরত্ন কালীমন্দির” নামেও পরিচিত।
উল্লাপাড়ার নবরত্ন মন্দির: ঐ অঞ্চলের জমিদার পরিবারের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত হয়েছিল।
এই দুটি মন্দিরই মূলত শাক্ত ও বৈষ্ণব ঐতিহ্যের প্রতিফলন।
নবরত্ন মন্দিরের ইতিহাস
নবরত্ন মন্দিরটি আবিষ্কারের সময় এখানে কোন শিলালিপির অস্তিত্ব ছিল না বলে এর নির্মাণকাল সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না। তবে জনশ্রুতি অনুসারে, মন্দিরটি ১৬৬৪ সালের দিকে রামনাথ ভাদুরী নামে স্থানীয় এক জমিদার নির্মাণ করেছিলেন। তবে কেউ কেউ মনে করেন আরও পরে, মন্দিরটি বাংলার নবাব মুর্শিদকুলি খানের সময়কাল ১৭০৪ থেকে ১৭২৮ সালের মধ্যে কোন এক সময় নির্মাণ করা হয়েছিল। কিংবদন্তি অনুসারে, রামনাথ ভাদুরী দিনাজপুরের তৎকালীন রাজা প্রাণনাথের বন্ধু ছিলেন। ভাদুরী তার বন্ধুকে তার রাজ্যের রাজস্ব পরিশোধে একবার সাহায্য করেছিলেন।
তারই ফলস্বরূপ প্রাণনাথ দিনাজপুরের কান্তনগর মন্দিরের অদলে সিরাজগঞ্জে এই মন্দিরটি নির্মাণ করে দেন। আবার কেউ কেউ মনে করেন ভাদুরী তার নিজস্ব অর্থ ব্যয় করেই এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। বাংলাদেশের নবরত্ন মন্দিরগুলো মূলত ১৭শ থেকে ১৯শ শতকের মধ্যে নির্মিত। সিরাজগঞ্জের মন্দিরগুলোও সম্ভবত এই সময়কার। হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দিরটি মধ্যযুগের ইতিহাস ও সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি স্থানীয়দের জন্য একটি পরিচিতি এবং বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক নিদর্শন। এটি মধ্যযুগের হিন্দু স্থাপত্যের এক উজ্জ্বল নিদর্শন, যা প্রায় পাঁচশ বছরের পুরনো এবং বাংলাদেশে নির্মিত কয়েকটি নবরত্ন মন্দিরের মধ্যে অন্যতম।
মোগল ও নবাবি প্রভাব: এ সময় বাংলায় ইট-ভিত্তিক স্থাপত্যের ব্যাপক প্রচলন ঘটে। মুসলিম স্থাপত্যের খিলান ও গম্বুজ প্রভাবিত হয় হিন্দু মন্দিরগুলিতেও।
জমিদার ও স্থানীয় অভিজাত শ্রেণি: জমিদাররা নিজেদের মর্যাদা ও ধর্মীয় ভক্তি প্রকাশে মন্দির নির্মাণ করতেন। নবরত্ন মন্দির ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম।
লোককথা ও বিশ্বাস: স্থানীয়ভাবে প্রচলিত আছে, জমিদাররা কৃষিজমি থেকে প্রাপ্ত রাজস্বের একাংশ ধর্মীয় কাজে ব্যয় করতেন। মন্দির নির্মাণ ছিল তারই ফল।
নবরত্ন মন্দিরের স্থাপত্য বৈশিষ্ট্য
নবরত্ন মন্দির একটি বিশেষ স্থাপত্যরীতি, যেখানে দুটি ধাপের প্রতিটির চতুষ্কোণে একটি করে এবং কেন্দ্রে একটি করে মোট নয়টি চূড়া বা রত্ন থাকে। এই রীতির মন্দির অষ্টাদশ শতাব্দীতে বাংলা অঞ্চলে উদ্ভূত হয়েছিল। নবরত্ন মন্দিরের স্থাপত্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে দুটি ধাপ এবং প্রতি ধাপে আটটি ও কেন্দ্রে একটি করে মোট নয়টি চূড়া বা রত্ন, যা এর নামকরণ ও প্রধান বৈশিষ্ট্য। এই মন্দিরগুলি সাধারণত পোড়ামাটির ফলক দ্বারা সজ্জিত থাকে, যেখানে দেবদেবী, লতাপাতা ও ফুলের ছবি খোদাই করা থাকে। নবরত্ন মন্দিরগুলি উচ্চ বেদীর উপর নির্মিত এবং এদের দেয়াল ইটের গাঁথুনির হয়।
গঠনশৈলী
বর্গাকার ভিত্তির উপর দাঁড়ানো, কেন্দ্রে একটি বড় চূড়া এবং চারকোণে ও মাঝামাঝি প্রান্তে ছোট চূড়া মিলিয়ে নয়টি চূড়া, চূড়াগুলো কখনও গম্বুজাকৃতি, কখনও শিখরধাঁচের।
গর্ভগৃহ
মূল গর্ভগৃহে দেবমূর্তি স্থাপন করা হতো, ভাটপাড়ার মন্দিরে কালীমূর্তি স্থাপিত ছিল বলে ধারণা পাওয়া যায়। উল্লাপাড়ার মন্দিরে রাধাকৃষ্ণ পূজার ব্যবস্থা ছিল।
অলঙ্করণ
দেয়ালের বাইরের দিকে টেরাকোটা কারুকাজের আংশিক নিদর্শন এখনও পাওয়া যায়, কৃষিজীবন, নৌকা, পশুপাখি, পুরাণের গল্প খোদাই ছিল বলে স্থানীয় প্রবীণরা জানান। মন্দিরের দেয়ালে ও স্তম্ভে পোড়ামাটির নকশা ও কারুকার্য দেখা যায়, যেখানে লতাপাতা, ফুল এবং দেবদেবীর চিত্র খোদাই করা থাকে।
উপকরণ
ইট, চুনসুরকি, মাটির গাঁথুনি প্রধান উপকরণ, কাঠের দরজা-জানালা ব্যবহার হয়েছিল, তবে এখন অধিকাংশই ভগ্নপ্রায়।
ধর্মীয় ও সামাজিক গুরুত্ব
নবরত্ন মন্দিরের ধর্মীয় গুরুত্ব বলতে মূলত এর স্থাপত্যশৈলী ও এর ঐতিহাসিক তাৎপর্য বোঝায়, যেখানে এটি মধ্যযুগের হিন্দু সংস্কৃতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সামাজিক গুরুত্ব হিসেবে, এটি ঐতিহাসিক পর্যটনের কেন্দ্র, স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির প্রতীক (বিশেষত দুর্গাপূজার সময়) এবং একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্য নিদর্শন হিসেবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ, যা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।
পূজা-অর্চনা
নবরত্ন মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সবাই আনন্দঘন পরিবেশে অংশগ্রহণ করে, যা ধর্মীয় সম্প্রীতির এক চমৎকার উদাহরণ। ভাটপাড়ার মন্দিরে নিয়মিত কালীপূজা হতো। বিশেষত কালীপূজা ও দুর্গাপূজার সময় এখানে বিশাল সমাগম ঘটত। উল্লাপাড়ার মন্দিরে কৃষ্ণভক্তরা রসোৎসব ও দোলযাত্রা পালন করতেন।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য
মন্দির প্রাঙ্গণে নাট্যশালা ও পালাগানের আয়োজনও হতো, এভাবে মন্দির শুধু ধর্মীয় নয়, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেরও কেন্দ্রবিন্দু ছিল।
নবরত্ন মন্দিরের বর্তমান অবস্থা
সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দির বর্তমানে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে বিদ্যমান, যা বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সময়ের বিবর্তনে মন্দিরটির নয়টি চূড়া (রত্ন) প্রায় ধ্বংস হয়ে গেলেও, এর মূল কাঠামো এখনও বিদ্যমান এবং এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ নবরত্ন স্থাপত্যের উদাহরণ। মন্দিরটি কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে এবং এর ধ্বংসাবশেষ ও কারুকার্য দেখলে মূল কাঠামোর স্থাপত্যশৈলী বোঝা যায়। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মন্দিরটির দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং বর্তমানে এটি সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ ও পর্যায়ক্রমে সংস্কার করা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের নবরত্ন মন্দিরগুলো আজ অবহেলায় ধ্বংসপ্রায়।
নবরত্ন মন্দির সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা
নবরত্ন মন্দির সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম, কারণ এটি শুধু একটি প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শনই নয়, বরং এটি বাংলার মধ্যযুগীয় ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বহন করে। মন্দিরটি রক্ষা করা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সেই সময়ের স্থাপত্যশৈলী, কারুকার্য, এবং সামাজিক সম্প্রীতির এক অনন্য ইতিহাস সংরক্ষিত হবে। এছাড়া, পর্যটন শিল্পের বিকাশ, অর্থনৈতিক লাভ এবং জাতীয় সম্পদ হিসেবে এর গুরুত্বও অপরিসীম।নবরত্ন মন্দির শুধু ধর্মীয় স্থান নয়, বরং বাংলার স্থাপত্য ও ইতিহাসের অমূল্য সম্পদ।
সিরাজগঞ্জের নবরত্ন মন্দির কেবল একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয়; এটি ইতিহাস, স্থাপত্য, সংস্কৃতি এবং সমাজজীবনের এক অসাধারণ দলিল। বাংলার অন্যান্য অঞ্চলের মতো এখানকার নবরত্ন মন্দিরগুলোও জমিদারি যুগের শিল্পরুচি, ভক্তি, ঐশ্বর্য এবং আঞ্চলিক কৃষ্টির প্রতিফলন ঘটিয়েছে। একদিকে এরা দেবভক্তির কেন্দ্র ছিল, অন্যদিকে গ্রামীণ মানুষের সামাজিক মিলনস্থল হয়ে উঠেছিল। পূজা-পার্বণ, মেলা, নাট্যগান, যাত্রা ও লোকশিল্পের নানা আয়োজনের মাধ্যমে এ মন্দিরগুলি স্থানীয় সমাজের সাংস্কৃতিক প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। প্রাকৃতিক ক্ষয়, অবহেলা, আর্থিক সংকট এবং সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নবরত্ন মন্দিরগুলো আজ ভগ্নাবশেষে পরিণত হচ্ছে। অথচ এগুলো শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের পুজাস্থল নয়; বরং সমগ্র বাংলার ঐতিহাসিক ঐতিহ্য। এ মন্দিরগুলো সংরক্ষণ করা মানে আমাদের অতীতের শিল্পকলা, স্থাপত্য এবং সংস্কৃতিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে জীবন্ত করে রাখা।
এছাড়া, এ ধরনের স্থাপত্য নিদর্শন পর্যটন শিল্পেও বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে। যথাযথ সংরক্ষণ ও প্রচারণার মাধ্যমে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করা সম্ভব। এতে স্থানীয় মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যেমন ঘটবে, তেমনি ঐতিহ্যবাহী মন্দিরগুলো নতুন করে প্রাণ ফিরে পাবে।
সবশেষে বলা যায়, সিরাজগঞ্জের নবরত্ন মন্দির কেবল ইট-পাথরের গড়া এক স্থাপনা নয়; এটি আমাদের স্মৃতি, আমাদের গৌরব, আমাদের শিকড়। যদি আমরা এখনই সংরক্ষণের উদ্যোগ না নিই, তাহলে এই অমূল্য ঐতিহ্য একদিন পুরোপুরি বিলীন হয়ে যাবে। তাই সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ, স্থানীয় জনগণের সচেতনতা এবং গবেষক-ইতিহাসবিদদের নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই মন্দিরগুলোকে রক্ষা করতে হবে। নবরত্ন মন্দিরকে কেন্দ্র করে একদিন সিরাজগঞ্জ যেমন ঐতিহ্যের গর্বিত ধারক হয়ে উঠেছিল, ভবিষ্যতেও তেমনভাবেই জাতীয় ঐতিহ্যের মানচিত্রে উজ্জ্বল হয়ে উঠতে পারে।
তথ্যসূত্র
আহমেদ, নঈম. বাংলার মন্দির স্থাপত্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা।
মহম্মদ, মাহবুবুর রহমান। বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব ও স্থাপত্য, বাংলা একাডেমি, ঢাকা।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সরকারের প্রকাশনা ও প্রতিবেদন।
Sirajganj District Gazetteer, Government of Bangladesh, 1984.
Rahman, Muntasir Mamun. Cultural Heritage of Bangladesh, Asiatic Society of Bangladesh.