Friday, October 3, 2025
Homeইতিহাসচিনি মসজিদ সৈয়দপুর

চিনি মসজিদ সৈয়দপুর

চিনি মসজিদের ইতিহাস

চিনি মসজিদ (‘চীনা মসজিদ’ নামেও পরিচিত) রংপুর বিভাগের নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে অবস্থিত। মসজিদটি নীলফামারী সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সৈয়দপুরে অবস্থিত। মসজিদে একসঙ্গে প্রায় পাঁচ শতাধিক লোক নামাজ আদায় করতে পারে। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে অবস্থিত চিনি মসজিদ বাংলাদেশের স্থাপত্য ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শন। এ মসজিদটি শুধু একটি ধর্মীয় উপাসনালয় নয়, বরং মুসলিম শাসনামলের শিল্পকলা, স্থাপত্যশৈলী, কারুকার্য এবং সাংস্কৃতিক প্রভাবের প্রতিফলন। স্থানীয়ভাবে এটি চিনি মসজিদ নামে পরিচিত হলেও এর মূল নাম জামা মসজিদ। চমৎকার নকশা ও মোজাইক শৈলীর কারণে এ মসজিদটি বাংলাদেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থাপত্যে পরিণত হয়েছে।

চিনি মসজিদ কোথায় অবস্থিত

চিনি মসজিদটি বাংলাদেশের নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরের ইসবাগ এলাকায় অবস্থিত। এটি ১৮৬৩ সালে হাজী বাকের আলী ও হাজী মুকু নামের স্থানীয় দুজন বাসিন্দা ছন ও বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করেন এবং পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় এটি টিনের ঘরে রূপান্তরিত হয়।

চিনি মসজিদের ইতিহাস

১৮৬৩ সালে হাজী বাকের আলী ও হাজী মুকু নামের দুজন স্থানীয় বাসিন্দা সৈয়দপুর শহরের ইসবাগ এলাকায় ছন ও বাঁশ দিয়ে মসজিদটি নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সহায়তায় তা টিনের ঘরে রূপান্তরিত করা হয়। পরে এলাকার লোকেরা মসজিদটি নির্মাণের লক্ষ্যে একটি তহবিল গঠন করেন। এরপর শুরু হয় মসজিদের নির্মাণ কাজ। ১৯২০ সালে হাজি হাফিজ আবদুল করিমের উদ্যোগে মসজিদটির প্রথম অংশ পাকা করা হয়। এই সময় এর দৈর্ঘ্য ছিলো ৪০ ফুট ও প্রস্থ ৩৯ ফুট। নকশা ওকারুকাজের জন্য কলকাতা থেকে মর্মর পাথর ও চিনা মাটি দিয়ে তৈরি হয়। ১৯৬৫ সালে মসজিদের দক্ষিণ দিকের দ্বিতীয় অংশ পাকা করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ আমলে মসজিদের উত্তর দিকে তৃতীয় অংশ তৈরি হয়। ২০২১-এ মসজিদের চিনা পাথর খসে পরছে এবং গম্বুজে ফাটল ধরেছে। ধারণা করা হয়, মুঘল স্থাপত্যশৈলীর প্রভাবে এবং স্থানীয় জমিদার ও ব্যবসায়ীদের পৃষ্ঠপোষকতায় মসজিদটির নির্মাণ শুরু হয়।

চিনি মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা: স্থানীয় ধনী ব্যবসায়ী হাজী বকস এ মসজিদটি নির্মাণে মূল ভূমিকা পালন করেন।

চিনি মসজিদ নির্মাণের সময়: প্রায় ১৮৬৩ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং শেষ হয় ১৮৮৩ সালের দিকে। অর্থাৎ, নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হতে প্রায় ২০ বছর সময় লেগেছিল।

চিনি মসজিদের নামকরণের কারণ: এর দেয়াল ও বাইরের অংশে চীনামাটির টালি ও কারুকাজ ব্যবহার করা হয়েছে। “চিনি” শব্দটি ফারসি শব্দ “চীনী” থেকে এসেছে, যার অর্থ চীনামাটির তৈরি। সেই থেকেই মসজিদটির নাম হয়েছে চিনি মসজিদ। এই দীর্ঘ সময় ধরে মসজিদটি শুধু উপাসনালয় হিসেবেই নয়, বরং সৈয়দপুর অঞ্চলের মুসলিম সমাজে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়েছে।

চিনি মসজিদের ডিজাইন ও স্থাপত্যশৈলী

চিনি মসজিদের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর স্থাপত্যশৈলী ও কারুকাজ। মসজিদটিতে মুঘল স্থাপত্যের প্রভাব দেখা যায়। 

গঠন

মসজিদটি আয়তাকার আকৃতির। মসজিদের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ ফুট এবং প্রস্থ প্রায় ৪০ ফুট। মূল ভবনটি তিন গম্বুজবিশিষ্ট, তবে কেন্দ্রীয় গম্বুজটি অন্য দুটি গম্বুজের চেয়ে বড়। এর চারপাশে চারটি মিনার রয়েছে, যা স্থাপত্যকে আরও নান্দনিক করে তুলেছে।

অলঙ্করণ

চিনি মসজিদের অলঙ্করণ মূলত উজ্জ্বল রঙের চিনামাটির পাথরের টুকরা দিয়ে তৈরি, যা চিনি দানার মতো দেখায়। এই অলঙ্করণে মুসলিম স্থাপত্যরীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং এতে জ্যামিতিক নকশা ও ক্যালিগ্রাফি ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদটির দেয়ালে এবং মেঝেতে এসব নকশা ব্যবহার করা হয়েছে, যা এটিকে এক অনন্য সৌন্দর্য প্রদান করে।

দেয়ালগুলোতে চীনামাটির টালি বা সিরামিক প্লেট বসানো হয়েছে। এই টালিগুলোতে ফুল, পাতা, জ্যামিতিক নকশা ও আরবি ক্যালিগ্রাফির সমন্বয় দেখা যায়। মসজিদের ভেতরের অংশে মিহি মোজাইক কারুকাজ এবং রঙিন টাইলস ব্যবহৃত হয়েছে। প্রধান মিহরাব এবং দরজাগুলোতে সযত্ন খোদাই এবং কারুকাজ মুঘল স্থাপত্যের ছাপ বহন করে।

বিশেষ বৈশিষ্ট্য

চিনি মসজিদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর দেয়ালগুলোতে মার্বেল ও চিনামাটির টুকরা খোদাই করে বসানো হয়েছে, যা সূর্যের আলোতে ঝিকমিক করে এবং দূর থেকেও এর উজ্জ্বলতা দেখা যায়। এটি বাংলাদেশের নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত একটি প্রাচীন স্থাপত্য, যা এর শৈল্পিক কারুকাজ ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যের জন্য পরিচিত। মসজিদের বহির্ভাগে সাদা-নীল রঙের টালি ব্যবহারের কারণে এটি দূর থেকেও সহজেই চেনা যায়। চীনামাটির ব্যবহার একে বাংলাদেশের অন্যান্য মসজিদ থেকে আলাদা করেছে।

ধর্মীয় ও সামাজিক গুরুত্ব

নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত চিনি মসজিদ একটি ধর্মীয় উপাসনালয়, যা তার সুন্দর স্থাপত্য ও ধর্মীয় সম্প্রীতির এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়। ধর্মীয়ভাবে এটি মুসলমানদের নামাজ আদায়ের স্থান হলেও এর স্থাপত্যশৈলী ও ইতিহাস একে অঞ্চলটির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে সহাবস্থানের এক জীবন্ত উদাহরণে পরিণত করেছে।

চিনি মসজিদ সৈয়দপুরের মুসলিম সমাজের ধর্মীয় কার্যক্রমের অন্যতম কেন্দ্র। এখানে নিয়মিত নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে জুমার নামাজ, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার জামাতে হাজারো মানুষ সমবেত হন। ধর্মীয় শিক্ষার প্রচারে এ মসজিদের ভূমিকা অপরিসীম।স্থানীয় মানুষদের কাছে এটি সামাজিক মিলনস্থল হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ।

সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন

এই মসজিদটি ধর্মীয় সহনশীলতা ও ঐক্যেরও একটি নিদর্শন, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সুসম্পর্ক তুলে ধরে। চিনি মসজিদ শুধুমাত্র একটি স্থাপত্য নয়, বরং এ অঞ্চলের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। মুসলিম শিল্পকলা ও স্থাপত্যে টালি বা চীনামাটির ব্যবহার ছিল আভিজাত্যের নিদর্শন। স্থানীয় শিল্পীরা দেশি উপকরণের সঙ্গে বিদেশি প্রভাবের সংমিশ্রণ ঘটিয়েছিলেন। এটি এ অঞ্চলের মানুষের ধর্মীয় ভক্তি এবং নান্দনিক রুচির বহিঃপ্রকাশ।

পর্যটন গুরুত্ব

চিনি মসজিদ একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র, এর সুন্দর স্থাপত্যশৈলী, বিশেষ করে এর মার্জিত নকশা এবং নকশি করা দেয়াল এটিকে পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলে। এই মসজিদটি একটি ঐতিহাসিক স্থান হওয়ায়, এটি বাংলাদেশের ধর্মীয় ও স্থাপত্য ঐতিহ্যকে তুলে ধরে এবং স্থানীয় পর্যটনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চিনি মসজিদ সৈয়দপুরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। প্রতিবছর দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকরা এটি দেখতে আসেন। মসজিদের চমৎকার কারুকাজ, প্রাচীনত্ব ও অনন্য নামকরণ দর্শকদের কাছে আকর্ষণীয়। এটি নীলফামারী ও রংপুর অঞ্চলের পর্যটন শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

সংরক্ষণ ও চ্যালেঞ্জ

চিনি মসজিদের সংরক্ষণ বলতে এর স্থাপত্যশৈলীর বিশুদ্ধতা রক্ষা এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব বজায় রাখা বোঝায়, যার প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো হলো অর্থায়ন, পর্যাপ্ত রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং আধুনিক স্থাপত্যের প্রভাব। মসজিদটির দেওয়াল ও স্থাপত্যশৈলীতে চীনামাটি বা চিনামাটির ভগ্নাংশ ব্যবহার করার কারণে এটি ‘চিনি মসজিদ’ নামে পরিচিতি লাভ করে, যা এর একটি বিশেষত্ব। এর সংরক্ষণে স্থানীয় ও সরকারি উদ্যোগ, সঠিক পরিকল্পনা এবং নিয়মিত অর্থায়নের প্রয়োজন। প্রাচীন স্থাপত্য সংরক্ষণ সবসময়ই চ্যালেঞ্জের মুখে থাকে।

সমস্যা

সময়ের সাথে সাথে চীনামাটির টালিগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পরিবেশ দূষণ ও অযত্নে দেয়ালের কারুকাজ ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে। পর্যটকদের অসচেতন আচরণও মসজিদের সৌন্দর্য ক্ষুণ্ণ করছে।

সংরক্ষণ প্রচেষ্টা

চিনি মসজিদের সংরক্ষণ বলতে মূলত এর স্থাপত্যশৈলী ও সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণকে বোঝায়, যা স্থানীয়দের অংশগ্রহণে গঠিত তহবিল ও কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে এর দেয়ালে চিনামাটির থালার ভগ্নাংশ ও কাঁচের ভগ্নাংশ বসানো হয়েছে। মসজিদ কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় বাসিন্দারা এর রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর মসজিদটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে ঘোষণা করেছে।

তুলনামূলক আলোচনা

বাংলাদেশে আরও কিছু বিখ্যাত মসজিদ রয়েছে যেমন— ষাট গম্বুজ মসজিদ (বাগেরহাট), তারা মসজিদ (ঢাকা), লালবাগ শাহী মসজিদ (ঢাকা)। কিন্তু চিনি মসজিদকে আলাদা করেছে এর চীনামাটির টালি এবং কারুকাজের বিশেষ ব্যবহার। এটি শৈল্পিক কারুকার্য ও দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যের জন্য পরিচিত। 

চিনি মসজিদ সৈয়দপুর বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় স্থাপত্যকীর্তি, যা আজও অগণিত মানুষের কাছে বিস্ময় এবং শ্রদ্ধার প্রতীক হয়ে আছে। শুধু একটি নামাজের জায়গা হিসেবেই নয়, এটি হয়ে উঠেছে ঐতিহ্যের ধারক-বাহক এবং স্থানীয় পরিচয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

প্রথমত, ধর্মীয় দিক থেকে মসজিদটি মুসলিম সমাজের ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতার প্রকাশ ঘটায়। এখানে প্রতিদিনের নামাজ, জুমা, তারাবি ও ঈদের জামাত কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যম।

দ্বিতীয়ত, শিল্প-সংস্কৃতির দিক থেকে চিনি মসজিদ আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, শিল্পকলার মাধ্যমে আধ্যাত্মিকতা ও সৌন্দর্যকে একই সঙ্গে প্রকাশ করা যায়। এর গায়ে চীনামাটির টালি, সূক্ষ্ম নকশা এবং মোজাইক কাজ শুধু স্থাপত্যকৌশলই নয়, বরং মানুষের রুচি, সৃজনশীলতা এবং দক্ষতার নিদর্শন।

তৃতীয়ত, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক থেকে এটি উত্তরবঙ্গের মানুষকে তাদের অতীতের সঙ্গে যুক্ত করে। মুঘল স্থাপত্যশৈলীর প্রভাব, স্থানীয় উপাদানের ব্যবহার এবং বিদেশি চীনামাটির টালি—সব মিলিয়ে এটি এক অনন্য স্থাপত্য ঐতিহ্য।

চতুর্থত, পর্যটন ও অর্থনীতির দিক থেকে চিনি মসজিদ স্থানীয় পর্যটনের একটি প্রধান আকর্ষণ। দেশ-বিদেশ থেকে আগত দর্শনার্থীরা শুধু ইতিহাস জানতেই নয়, বরং এ অঞ্চলের মানুষ, সংস্কৃতি ও জীবনধারা সম্পর্কে ধারণা নিতে আসেন। এর ফলে স্থানীয় অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।

তবে এত গুরুত্ব ও মহিমা সত্ত্বেও মসজিদটি আজ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন। পরিবেশের প্রভাব, অবহেলা, পর্যটকদের অসচেতনতা এবং আধুনিকতার চাপ এই ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো যথাযথ সংরক্ষণ। সরকার, স্থানীয় প্রশাসন, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এবং সাধারণ মানুষের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই স্থাপত্যকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অক্ষুণ্ণ রাখা সম্ভব নয়।

সবশেষে বলা যায়, চিনি মসজিদ শুধুমাত্র সৈয়দপুরের নয়, পুরো বাংলাদেশের গৌরব। এটি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য, শিল্প-সংস্কৃতির সমৃদ্ধি এবং ধর্মীয় ভক্তির প্রতীক। তাই একে সংরক্ষণ করা মানে আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রতি দায়িত্ব পালন করা। আগামী দিনে যদি সঠিকভাবে এর যত্ন নেওয়া হয়, তবে চিনি মসজিদ কেবল একটি স্থাপত্য নিদর্শন হিসেবেই নয়, বরং বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্যতম রত্ন হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

তথ্যসূত্র

বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, “চিনি মসজিদ সম্পর্কিত প্রত্নতাত্ত্বিক তথ্য” (প্রকাশনা, ঢাকা)।

ড. নাজমা খান মজলিশ, বাংলাদেশের স্থাপত্য ঐতিহ্য, বাংলা একাডেমি, ঢাকা।

স্থানীয় প্রশাসন, নীলফামারী জেলার প্রকাশনা ও তথ্যসেবা কেন্দ্র।

ভ্রমণ ব্লগ ও পর্যটন বিষয়ক প্রবন্ধ: “চিনি মসজিদ সৈয়দপুর”, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড।

Itihasar Golpo
Itihasar Golpohttps://itihasargolpo.com
Step into the past with our unforgettable historical journey. Discover the secrets of history on our captivating journey.
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments