বড় কাটরা মাদ্রাসা
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মুঘল আমলের এক ঐতিহ্যবাহী শহর। ষোড়শ থেকে আঠারো শতক পর্যন্ত এই শহর ছিল বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রধান কেন্দ্র। ঢাকা নগরীকে সমৃদ্ধ করেছিল অসংখ্য স্থাপত্যকীর্তি, মসজিদ, সমাধি, মাদ্রাসা এবং বাণিজ্যিক ভবন। এই ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বড় কাটরা ঢাকা শহরের মুঘল স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন হিসেবে এখনও দাঁড়িয়ে আছে।
বড় কাটরা মূলত একটি “কারভানসরাই” বা যাত্রীদের বিশ্রামাগার, যেখানে দূর-দূরান্ত থেকে আগত ব্যবসায়ী, পর্যটক ও ভ্রমণকারীরা অবস্থান করত। মুঘল শাসকরা বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক কারণে এমন স্থাপনা নির্মাণ করতেন। এর স্থাপত্যশৈলীতে প্রতিফলিত হয়েছে মুঘল সাম্রাজ্যের মহিমা, শৈল্পিক দক্ষতা এবং ব্যবহারিকতা।
বড় কাটরা কে নির্মাণ করেন ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
বড় কাটরার নির্মাণকাল নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে কিছু মতভেদ থাকলেও সাধারণভাবে ধারণা করা হয় যে, এটি ১৬৪৪–১৬৪৬ খ্রিস্টাব্দে মুঘল সুবাদার শাহ সুজার আদেশে নির্মিত হয়। শাহ সুজা ছিলেন মুঘল সম্রাট শাহজাহানের পুত্র এবং বাংলার সুবাদার (গভর্নর)। প্রাথমিকভাবে বড় কাটরা নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল শাহ সুজা ও তাঁর পরিবারের জন্য প্রাসাদসদৃশ আবাসন। তবে পরবর্তীতে এটি ব্যবসায়ী ও ভ্রমণকারীদের যাত্রাবিরতির জন্য উন্মুক্ত করা হয়, এবং তখন এটি “কারভানসরাই” হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।‘কাটরা’ শব্দটির উৎপত্তি ফার্সি ভাষা থেকে। এর অর্থ বাজার, সারি বা সমবেত ঘরবাড়ি। ঢাকা শহরে বড় কাটরার পাশাপাশি ছোট কাটরাও নির্মিত হয়েছিল, যা প্রমাণ করে মুঘল আমলে ঢাকায় কাটরা ব্যবস্থা বিশেষ জনপ্রিয় ছিল।
বড় কাটরার স্থাপত্যশৈলী ও বড় কাটরা নকশা
বড় কাটরার স্থাপত্যশৈলী মূলত মুঘল স্থাপত্যধারার অনুসারী হলেও স্থানীয় উপকরণ ও নকশার প্রভাবও লক্ষ করা যায়। বিল্ডিংটি মধ্য এশীয় সরাইখানার ঐতিহ্যবাহী প্যাটার্ন অনুসরণ করে এবং মোগল স্থাপত্য অনুযায়ী শোভিত। মূলত এটি একটি চতুষ্কোণ অঙ্গন ঘেরা স্থাপত্য।
দক্ষিণ শাখাটি ৬৭.৯৭ মিটার প্রসারিতএবং বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত। উত্তর বাহুও একই মাপের ছিল বলে ধারণা করা হয়। পূর্ব-পশ্চিম বাহুর দৈর্ঘ্য এখন নিরূপণ করা দুঃসাধ্য হলেও আদিতে ৭০.১০ মিটার করে ছিল বলে জানা যায়। তিনতলা বিশিষ্ট এ সদর তোরণ ছিল অতি মনোমুগ্ধকর এবং এটি দক্ষিণে নদীর দিকে প্রায় ৭.৬১ মিটার এবং পূর্ব-পশ্চিমে প্রায় ১২.১৯ মিটার প্রসারিত ছিল। এ প্রবেশপথের দুপাশে ছিল দুটি প্রহরীকক্ষ। প্রহরীকক্ষ দুটির আয়তন ছিল পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা ৫.৫১ × ২.৯২ মিটার। এ প্রবেশপথের পরে ছিল পরপর তিনটি অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র আয়তনের প্রবেশপথ। পূর্ব-পশ্চিমে লম্বা প্রবেশপথের আয়তন ছিল যথাক্রমে ২.৭৪ × ০.৯১ মি., ৩.৩৫ × ১.৮২ মি, এবং ২.৭৪ × ১.৮২ মি.।
গঠন ও আকার: আয়তনে আয়তাকার এই স্থাপনার চারপাশে উঁচু প্রাচীর ছিল,চারকোণে চারটি মিনার সদৃশ টাওয়ার ছিল, মূল প্রবেশদ্বার ছিল দক্ষিণ দিকে, যেটি ছিল অলঙ্কৃত খিলানযুক্ত।
কক্ষ ও সজ্জা: কাটরার ভেতরে প্রায় ৬৮টি কক্ষ ছিল বলে ধারণা করা হয়, ভেতরের কক্ষগুলো ব্যবসায়ী, পর্যটক এবং ভ্রমণকারীদের থাকার জন্য ব্যবহৃত হতো, উত্তর দিকের অংশে একটি বৃহৎ মসজিদও ছিল, যা আজও বিদ্যমান।
অলঙ্করণ: মুঘল স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, খিলান ও কারুকাজে আরবি লিপি ও ফুলেল নকশা ব্যবহৃত হয়েছিল, লাল ইট এবং চুন-সুরকির গাঁথুনি ছিল প্রধান নির্মাণ উপকরণ, শ্বেতপাথর ও মিহি চুনের প্রলেপে প্রাসাদটি একসময় ঝলমলে হয়ে উঠেছিল।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্ব
বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে
ঢাকা ছিল মুঘল আমলের একটি সমৃদ্ধ বাণিজ্যকেন্দ্র। বিশেষত মসলিন রেশম ও সূক্ষ্ম বস্ত্রের জন্য খ্যাত ছিল। বড় কাটরা ব্যবসায়ীদের অস্থায়ী আশ্রয়স্থল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। বিদেশি বণিকরা এখানে অবস্থান করত এবং স্থানীয় বাজারের সাথে তাদের বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপন করত।
সামাজিক সমাবেশ
এটি শুধু ব্যবসায়ীদের জন্যই নয়, বরং সামাজিক মিলনকেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হতো। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত মানুষদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিনিময়ের ক্ষেত্র তৈরি করেছিল বড় কাটরা।
ধর্মীয় ভূমিকা
বড় কাটারা মূলত একটি ঐতিহাসিক সরাইখানা হলেও, এর বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে জামিয়া হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম নামক একটি মাদ্রাসা এটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। পূর্বে এটি শাহ সুজার নির্মিত একটি ইমারত ছিল, কিন্তু বর্তমানে এটি শিক্ষাদান ও ধর্মচর্চার কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা এর ধর্মীয় ভূমিকা নির্ধারণ করে। উত্তরের দিকের মসজিদে নিয়মিত নামাজ আদায় হতো। এটি স্থানীয়দের পাশাপাশি ভ্রমণকারীদের ধর্মীয় চাহিদা পূরণ করত।
মুঘল স্থাপত্যের প্রভাব
বড় কাটরা একটি মুঘল যুগের সরাইখানা, যা মধ্য এশিয়ার ক্যারাভান সরাই-এর ঐতিহ্য অনুসারে নির্মিত এবং মুঘল স্থাপত্যের সকল বৈশিষ্ট্য বহন করে। এই স্থাপনাটি ১৬৪৪-১৬৪৬ সালে সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজার নির্দেশে দিওয়ান মীর আবুল কাসিম তৈরি করেন। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম মুঘল স্থাপনাগুলোর মধ্যে একটি। বড় কাটরার স্থাপত্যে আমরা মুঘল যুগের তিনটি প্রধান বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাই:
প্রয়োগিকতা – এটি আবাসিক, বাণিজ্যিক এবং ধর্মীয় তিনটি উদ্দেশ্যই একসাথে পূরণ করত।
অলঙ্করণ – খিলান, গম্বুজ, মিনার ও ফুলেল কারুকাজে মুঘল নান্দনিকতার প্রকাশ ঘটে।
প্রকৌশল দক্ষতা – চুন-সুরকি, ইট ও পাথরের ব্যবহার স্থাপত্যকে দীর্ঘস্থায়ী করেছে।
বড় কাটরা বনাম ছোট কাটরা
ঢাকায় দুটি প্রধান কাটরা নির্মিত হয়েছিল – বড় কাটরা ও ছোট কাটরা।
বড় কাটরা আয়তনে বড় এবং মূলত অভিজাত ও বিদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য নির্ধারিত ছিল।
ছোট কাটরা ছিল তুলনামূলক ছোট, যা স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ভ্রমণকারীদের আশ্রয় দিত।
অবক্ষয় ও সংরক্ষণ
বড় কাটারার অবক্ষয় মূলত অপরিকল্পিত নির্মাণ, দখলদারিত্ব, এবং সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ঘটছে, যা এর ঐতিহাসিক কাঠামোকে ঢেকে ফেলছে ও ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। সংরক্ষণ কার্যক্রমের মধ্যে ঐতিহাসিক কাঠামোর উপর কংক্রিটের নতুন নির্মাণ বন্ধ করা, অবৈধ দখলদারিত্ব অপসারণ, এবং যথাযথ তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করে এর আদি রূপ ফিরিয়ে আনা প্রয়োজন।
অবক্ষয়ের কারণ
শত শত বছর ধরে অযত্ন ও অবহেলার কারণে বড় কাটরা ভগ্নাবস্থায় পৌঁছেছে। স্থানীয়দের অবৈধ দখল, দালান নির্মাণ এবং পরিবেশগত ক্ষতিও এই স্থাপনার মূল রূপ নষ্ট করেছে। ব্রিটিশ আমলে এর বেশ কিছু অংশ ধ্বংস হয়ে যায়।
সংরক্ষণ উদ্যোগ
পাকিস্তান আমলে কিছু সংরক্ষণ উদ্যোগ নেয়া হলেও সেগুলো দীর্ঘমেয়াদি ছিল না।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এই স্থাপনাকে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে ঘোষণা করে।
বর্তমানে সীমিত আকারে সংরক্ষণ কার্যক্রম চালানো হচ্ছে, তবে পর্যাপ্ত উদ্যোগের অভাব এখনও প্রকট।
বড় কাটারা ও ছোট কাটারার মতো ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলোকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পর্যটন সম্ভাবনা
বড় কাঠারার পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে প্রয়োজন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, পর্যটকদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা, এবং দক্ষ জনবলের অভাব পূরণ করা। এছাড়া, পর্যটন স্পটগুলোর প্রচার বাড়াতে হবে এবং বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। বড় কাটরা ঢাকার পর্যটন শিল্পে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের কাছে এটি মুঘল স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন। পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে প্রয়োজন:
পর্যটন স্পটগুলোতে সরকারি উদ্যোগে ভালো মানের হোটেল ও আবাসন সুবিধা বাড়াতে হবে।
পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
অনলাইন ও অন্যান্য মাধ্যমে পর্যটন স্পটগুলো সম্পর্কে পর্যাপ্ত তথ্য ও প্রচারণার ব্যবস্থা করতে হবে।
পর্যটন এলাকাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও টেলিফোন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
বড় কাটরা বাংলাদেশের স্থাপত্য ঐতিহ্যের ভাণ্ডারে একটি উজ্জ্বল রত্ন। মুঘল আমলে ঢাকার সমৃদ্ধ বাণিজ্য, সামাজিক যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের প্রতীক হিসেবে এই স্থাপনাটি গড়ে উঠেছিল। এটি ছিল শুধু একটি সাধারণ আশ্রয়কেন্দ্র নয়, বরং এক বহুমাত্রিক স্থাপনা—যেখানে ব্যবসায়ীরা তাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালাত, ভ্রমণকারীরা বিশ্রাম নিত, ধর্মপ্রাণ মানুষ নামাজ আদায় করত, আর স্থানীয়রা একে অপরের সাথে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তুলত। তাই বড় কাটরা ছিল একাধারে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনের কেন্দ্রবিন্দু।
তবে শত শত বছরের ইতিহাস অতিক্রম করে আজ বড় কাটরা দাঁড়িয়ে আছে ভগ্নদশায়। এর অলঙ্কৃত খিলান, কারুকাজ, গম্বুজ ও কক্ষগুলোর অনেকাংশই হারিয়ে গেছে অবহেলা ও দখলদারিত্বের কারণে। যা একসময় ঢাকার আভিজাত্যের প্রতীক ছিল, তা এখন অনেকটা বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ এটি সংরক্ষণ করতে পারলে শুধু ইতিহাসই বাঁচবে না, বরং জাতীয় অর্থনীতিতেও নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলবে। কারণ, বড় কাটরাকে কেন্দ্র করে ঐতিহাসিক পর্যটন শিল্প বিকশিত হতে পারে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎস হিসেবে কাজ করবে।
এছাড়া, একটি জাতির পরিচয় গড়ে ওঠে তার ঐতিহ্য ও ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে তাদের গৌরবোজ্জ্বল অতীতের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হলে বড় কাটরার মতো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা আবশ্যক। এটি সংরক্ষণ করতে পারলে শিক্ষার্থীরা ইতিহাস শিখতে পারবে সরাসরি স্থাপত্য নিদর্শন থেকে, গবেষকরা নতুন তথ্য আহরণ করতে পারবে, আর সাধারণ মানুষও নিজের ঐতিহ্যকে কাছ থেকে অনুভব করতে পারবে।
অতএব, বড় কাটরাকে শুধু একটি ভগ্নপ্রায় স্থাপনা হিসেবে নয়, বরং বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখতে হবে। সরকারের দায়িত্বশীল পদক্ষেপ, স্থানীয় জনগণের সচেতনতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই স্থাপনাটিকে সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধার করা সম্ভব। সঠিক উদ্যোগ নিলে বড় কাটরা আবারও তার ঐতিহাসিক মর্যাদা ফিরে পাবে এবং বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল অতীতকে সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে।
তথ্যসূত্র
আহমেদ, নাজিমুদ্দিন (১৯৮৪)। ইতিহাস কথা: বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব ও স্থাপত্য। ঢাকা: বাংলা একাডেমি।
আহসান, সাইফুদ্দিন (২০০৫)। ঢাকা: মুঘল নগরীর প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। ঢাকা: প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
Chowdhury, S. (1991). Dhaka: Smriti Bismritir Nogori. Dhaka: UPL.
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, বাংলাদেশ (সরকারি ওয়েবসাইট, ঢাকা জোন রিপোর্ট)।
Mamoon, Muntassir (2002). Dhaka: Smriti Bismritir Nagari. Dhaka: Anannya.